২৩শে মে, ২০২৫ ইং, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

রেলওয়ের পরিত্যক্ত লোহালক্কড় বিক্রি করে শত কোটি টাকা আয়

জামি রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি : পরিত্যক্ত লোহালক্কড় (স্ক্র্যাপ) বা ভাঙারি বিক্রি করে তিন বছরে ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে দরপত্রের মাধ্যমে ওই স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হয়। স্ক্র্যাপ বিক্রি করে রেকর্ড পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা আয় করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ। ভবিষ্যতে এ খাত থেকে আরও আয় হবে বলে আশাবাদী তিনি। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে, পরিত্যক্ত লোহালক্কড় বিক্রি করে এর আগে ১০ বছরেও সমপরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব হয়নি। তবে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ২০১৭ থেকে সর্বশেষ ২০১৯ সাল পর্যন্ত ১০০ কোটি টাকার স্ক্র্যাপ বিক্রিতে সক্ষম হয়েছে রেলওয়ে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক হিসেবে বেলাল হোসেন সরকার যোগদান করার পর বিক্রয় ব্যবস্থাপনায় আসে নতুনত্ব। তিনি সব ধরনের সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে দেন। রেল প্রশাসনের সহযোগিতায় টেন্ডারবাজি বন্ধ করতে সক্ষম হন তিনি। শুরু হয় উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান। এর ফলে রেকর্ড পরিমাণ আয় করতে সক্ষম হয়েছে রেলওয়ে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার এইচএম ট্রেডিং করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘অতীতে দরপত্রে অংশ নেওয়া জটিল ছিল। বর্তমানে আমরা নির্বিঘ্নে সাড়া দিতে পারছি। টেন্ডারবাজি না থাকায় স্বাভাবিক নিয়মে সৈয়দপুর, ঈশ্বরদী, সান্তাহার, রাজবাড়ী, খুলনা ও লালমনিরহাট থেকে মালামাল সংগ্রহ করা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে রেলওয়ে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা মিলছে। দরপত্রে প্রতি মেট্রিক টন ভাঙারি লোহার মূল্য সাড়ে ৩৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আর এ কারণে রেলের আয় শত কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।’ এ বিষয়ে রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) বেলাল হোসেন বলেন, ‘সবক্ষেত্রে যখন লোকসান আর নৈরাজ্য দেখছিলাম, তখন আমরা চেষ্টা করেছি এ খাত থেকে রেলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। মাত্র তিন বছরে আমরা পরিত্যক্ত জঞ্জাল অর্থাৎ পরিত্যক্ত লোহালক্কড় শত কোটি টাকায় আমরা বিক্রি করতে পেরেছি।’

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ